মৌল কাকে বলে, মৌল ও যৌগ কাকে বলে এবং ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নাম নিয়ে আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। মৌল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ুন।
প্রকৃতির অন্তহীন বৈচিত্র্যের মূলে লুকিয়ে থাকে মৌল নামক সহজ কিছু পদার্থ। মৌল হলো প্রকৃতির মৌলিক একটি উপাদান, যা আর বিভক্ত করা যায় না। এরা একেক রকম পরমাণু দ্বারা গঠিত হয়, যাদের নিউক্লিয়াসে একই সংখ্যক প্রোটন থাকে। মৌলের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে তার ইলেকট্রন বিন্যাস এর উপর।
তো চলুন, মৌল কাকে বলে, মৌল ও যৌগ কাকে বলে, কৃত্রিম মৌল কি কি এবং ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
মৌল কাকে বলে
রাসায়নিক বিজ্ঞানের ভাষায়, মৌল হলো এমন একটি পদার্থ যা আর বিভক্ত করা যায় না। অন্য কথায়, মৌল হলো পরমাণুর মৌলিক রূপ, যা একই ধরণের প্রোটন ও ইলেকট্রনের সমন্বয়ে গঠিত। মৌলের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে তার প্রোটনের সংখ্যার উপর। প্রোটনের সংখ্যার ভিন্নতাই বিভিন্ন মৌলকে আলাদা করে তোলে। প্রকৃতিতে এখন পর্যন্ত ১১৮ টি মৌল আবিষ্কৃত হয়েছে।
মৌলগুলোকে ধাতু, অধাতু, উচ্চ-তেজস্ক্রিয়, ল্যান্থানাইড, অ্যাক্টিনাইড ইত্যাদি বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি বিভাগের মৌলগুলোর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও আচরণ থাকে। মৌলগুলো প্রকৃতিতে বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। কিছু মৌল, যেমন সোনা, রূপা, তামা ইত্যাদি স্বাভাবিকভাবেই খনিজ আকারে পাওয়া যায়। অন্যদিকে, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন ইত্যাদি মৌল বায়ুমণ্ডলে যৌগ হিসেবে বিদ্যমান।
মৌল আমাদের জীবনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। খাদ্য, পানি, বায়ু সবকিছুই মৌল দ্বারা গঠিত। আমাদের শরীরেও বিভিন্ন মৌল অপরিহার্য কাজ সম্পাদন করে থাকে।
মৌলিক পদার্থ কাকে বলে
যেসব পদার্থকে ক্ষুদ্রতম অংশে ভাঙ্গলেও একই ধরনের পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ পাওয়া যায় না, সেগুলোকে মৌলিক পদার্থ বলা হয়। মৌলিক পদার্থের অণু একই ধরনের এক বা একাধিক পরমাণু দ্বারা গঠিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, অক্সিজেন (O) একটি মৌলিক পদার্থ। অক্সিজেনের অণু (O2) দুটি একই ধরনের অক্সিজেন পরমাণু (O) দ্বারা তৈরি।
মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য
মৌলিক পদার্থের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নীচে উল্লেখ করে দেয়া হলো —
- প্রতিটি মৌলের নিজস্ব নির্দিষ্ট রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য থাকে।
- প্রতিটি মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে। এই সংখ্যাকে পরমাণু সংখ্যা বলা হয়। পরমাণু সংখ্যা মৌলের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য এবং এটি মৌলকে অন্য মৌল থেকে আলাদা করে।
- প্রতিটি মৌলের পরমাণুর গড় ভর নির্দিষ্ট থাকে। এই ভরকে পরমাণু ভর বলা হয়। পরমাণু ভর পরমাণুতে প্রোটন এবং নিউট্রনের সংখ্যার উপর নির্ভর করে।
- সাধারণ তাপমাত্রা ও চাপে মৌলিক পদার্থ তিনটি পদার্থিক অবস্থায় (কঠিন, তরল, বায়বীয়) বিদ্যমান থাকে।
- মৌলিক পদার্থ পরস্পরের সাথে মিশে যৌগ তৈরি করে। কিন্তু মৌলিক পদার্থের সাথে অন্য কোন পদার্থ মিশিয়ে যৌগ তৈরি করা যায় না।
এগুলো ছাড়াও মৌলিক পদার্থের আরও অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
কৃত্রিম মৌল কয়টি ও কি কি
প্রকৃতিতে বিদ্যমান ১১৮ টি মৌলের মধ্যে কিছু মৌল মানুষের তৈরি। এই মৌলগুলোকে কৃত্রিম মৌল বলা হয়। প্রকৃতিতে এই মৌলগুলো স্থায়ীভাবে বিদ্যমান থাকে না, কারণ এগুলোর স্থায়িত্ব অত্যন্ত কম।
প্রথম কৃত্রিম মৌল তৈরি করা হয়েছিল ১৯৩৪ সালে, যখন ইতালীয় বিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মি ইউরেনিয়ামকে নিউট্রন দিয়ে বোমাবর্ষণ করে টেকনেটিয়াম (Tc) তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে মোট ২৬ টি কৃত্রিম মৌল আবিষ্কৃত হয়েছে। এই মৌলগুলোর সংখ্যা পরমাণু সংখ্যা ৯০ থেকে ১১৮ এর মধ্যে।
অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে
প্রকৃতিতে বিদ্যমান কিছু মৌলের পরমাণু নির্দিষ্ট সময়ের পর অন্য মৌলে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াকে রেডিওঅ্যাক্টিভ ক্ষয় বলা হয়। যেসব মৌল রেডিওঅ্যাক্টিভ ক্ষয়ের মাধ্যমে অন্য মৌলে পরিণত হয়, সেগুলোকে অবস্থান্তর মৌল বলা হয়।
অবস্থান্তর মৌলের নিউক্লিয়াস অস্থির থাকে। এই অস্থিরতার কারণে নিউক্লিয়াস থেকে কণা নির্গত হয় এবং নিউক্লিয়াসের প্রোটন ও নিউট্রনের সংখ্যা পরিবর্তিত হয়। এর ফলে অবস্থান্তর মৌল অন্য মৌলে পরিণত হয়।
নিষ্ক্রিয় মৌল কাকে বলে
প্রকৃতিতে বিদ্যমান কিছু মৌলের পরমাণু রেডিওঅ্যাক্টিভ ক্ষয়ের মাধ্যমে অন্য মৌলে পরিণত হয় না। এই মৌলগুলোকে নিষ্ক্রিয় মৌল বলা হয়। নিষ্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস স্থির থাকে এবং রেডিওঅ্যাক্টিভ ক্ষয়ের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয় না।
📌 আরো পড়ুন 👇
নিষ্ক্রিয় মৌলের সংখ্যা ৮৬ টি। এর মধ্যে সবচেয়ে হালকা নিষ্ক্রিয় মৌল হলো হিলিয়াম (He) এবং সবচেয়ে ভারী নিষ্ক্রিয় মৌল হলো বিসমাথ (Bi)।
যৌগ কাকে বলে
প্রকৃতিতে মৌল নামক মৌলিক পদার্থগুলো বিভিন্নভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন পদার্থ তৈরি করে, যা আমরা যৌগ নামে চিনি। রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে দুই বা ততোধিক মৌলের পরমাণু নির্দিষ্ট অনুপাতে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠিত হয়।
যৌগের বৈশিষ্ট্য মৌলের বৈশিষ্ট্য থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, জল (H2O) যৌগটি হাইড্রোজেন (H) ও অক্সিজেন (O) নামক দুটি মৌল দ্বারা গঠিত। কিন্তু জলের বৈশিষ্ট্য হাইড্রোজেন বা অক্সিজেনের বৈশিষ্ট্যের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
যৌগগুলোকে বিভিন্ন ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। যেমন, অজৈব যৌগ, জৈব যৌগ, ধাতব যৌগ, অধাতব যৌগ, আয়নিক যৌগ, সমযোজী যৌগ ইত্যাদি। প্রতিটি বিভাগের যৌগের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও আচরণ থাকে। প্রকৃতিতে যৌগ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। জল, বায়ু, খনিজ, শিলা, জীবন্ত প্রাণীর দেহ – সকল জায়গায়ই যৌগের উপস্থিতি দেখা যায়।
যৌগিক পদার্থ কাকে বলে
প্রকৃতিতে বিদ্যমান মৌলিক পদার্থগুলো বিভিন্নভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন পদার্থ তৈরি করে, যা আমরা যৌগিক পদার্থ নামে চিনি। রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে দুই বা ততোধিক মৌলের পরমাণু নির্দিষ্ট অনুপাতে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠিত হয়।
যৌগিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য মৌলের বৈশিষ্ট্য থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পানি (H2O) যৌগটি হাইড্রোজেন (H) ও অক্সিজেন (O) নামক দুটি মৌল দ্বারা গঠিত। কিন্তু পানির বৈশিষ্ট্য হাইড্রোজেন বা অক্সিজেনের বৈশিষ্ট্যের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
১০ টি যৌগিক পদার্থের নাম
আমরা জানি একের অধিক মৌলিক পদার্থ মিলে একটি যৌগিক পদার্থ গঠিত হয়। নিচে এমন ১০ টি যৌগিক পদার্থের নাম উল্লেখ করে দেয়া হল —
- পানি (H2O): পানি হলো সকল জীবের জন্য অপরিহার্য একটি যৌগ। এটি দুটি হাইড্রোজেন (H) পরমাণু এবং একটি অক্সিজেন (O) পরমাণু দ্বারা গঠিত।
- কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2): মানুষ ও প্রাণী শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে বের করে। এটি একটি গ্রিনহাউস গ্যাস যা পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl): সাধারণ লবণ হল সোডিয়াম ক্লোরাইড যৌগ। এটি আমাদের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
- গ্লুকোজ (C6H12O6): গ্লুকোজ হলো শর্করার একটি প্রকার যা আমাদের দেহের জন্য শক্তির প্রধান উৎস।
- অ্যামোনিয়া (NH3): অ্যামোনিয়া হলো একটি তীব্র গন্ধযুক্ত গ্যাস যা সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- সালফিউরিক এসিড (H2SO4): সালফিউরিক এসিড একটি শক্তিশালী অম্ল যা ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- ইথানল (C2H5OH): ইথানল হলো মদ্যপানীয়গুলিতে পাওয়া যায় এমন একটি অ্যালকোহল।
- ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO3): ক্যালসিয়াম কার্বনেট চুনাপাথর এবং শামুকের খোলার মতো প্রাকৃতিক পদার্থে পাওয়া যায়। এটি নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়।
- অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (Al2O3): অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড করান্ডাম নামেও পরিচিত, যা রুবি এবং নীলমণির মতো মূল্যবান রত্ন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- সিলিকন ডাই অক্সাইড (SiO2): সিলিকন ডাই অক্সাইড বালি এবং কোয়ার্টজের মতো প্রাকৃতিক পদার্থে পাওয়া যায়। এটি কাচ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নাম
প্রকৃতিতে মোট ১১৮টি মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। নিচে এই ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নাম এর একটি পূর্নাঙ্গ তালিকা উল্লেখ করে দেয়া হল —
- হাইড্রোজেন
- হিলিয়াম
- লিথিয়াম
- বরিলিয়াম
- বোরণ
- কার্বন
- নাইট্রোজেন
- অক্সিজেন
- ফ্লোরিন
- নিয়ন
- সোডিয়াম
- ম্যাগনেসিয়াম
- এলুমিনিয়াম
- সিলিকন
- ফসফরাস
- সালফার
- ক্লোরিন
- আর্গন
- পটাশিয়াম
- ক্যালসিয়াম
- স্ক্যানডিয়াম
- টাইটেনিয়াম
- ভ্যানাডিয়াম
- ক্রোমিয়াম
- ম্যাঙ্গানিজ
- লোহা
- কোবাল্ট
- নিকেল
- কপার
- জিংক
- গ্যালিয়াম
- জার্মেনিয়াম
- আর্সেনিক
- সেলেনিয়াম
- ব্রোমিন
- ক্রিপ্টন
- রুবিডিনাম
- স্ট্রানসিয়াম
- ইট্রিয়াম
- জিরকোনিয়াম
- নাইওবিয়াম
- মলিবডেনাম
- টেকনিশিয়ান
- রুথেলিয়াম
- রেডিয়াম
- প্যালাডিয়াম
- রুপা
- ক্যাডমিয়াম
- ইন্ডিয়াম
- টিন
- এন্টিমনি
- ট্যালুরিয়াম
- আয়োডিন
- জেনন
- সিজিয়াম
- বেরিয়াম
- ল্যান্থানাম
- সিরিয়াম
- প্রাসিও ডিমিয়াম
- নিওডিমিয়াম
- প্রমিথিয়াম
- স্যামারিয়াম
- ইউরোপিয়াম
- গ্যাডো লিনিয়াম
- টার্বিডিয়াম
- ডিস্প্রোসিয়াম
- হলমিয়াম
- ইরবিয়াম
- লুথিয়াম
- ইটারবিয়াম
- লুটেসিয়াম
- হাফনিয়াম
- ট্যানটালাম
- টাংস্টেন
- রেনিয়াম
- অসমীয়াম
- ইরিডিয়াম
- প্লাটিনাম
- সোনা
- পারদ
- থেলিয়াম
- সিসা
- বিসমাথ
- পোলোনিয়াম
- এস্টাটিন
- রেডন
- ফ্রান্সিয়ান
- রেডিয়ান
- এষ্টিনিয়াম
- থেরিয়াম
- প্রটেক্টিনিয়াম
- ইউরেনিয়াম
- নেপচুনিয়াম
- প্লটোনিয়াম
- আমেসিরিয়াম
- কুরিয়াম
- বারকেলিয়াম
- ক্যালিফোর্নিয়াম
- আইনস্টাইনিয়াম
- ফার্মিয়াম
- মেন্ডেলিভিয়াম
- নোবেলিয়াম
- লরেন্সিয়াম
- রাদারফোরডিয়াম
- ডুবনিয়াম
- সিবর্গিয়াম
- বহোরিয়াম
- হ্যাশিয়াম
- মাইটনেরিয়াম
- ডার্মস্টাটিয়াম
- রন্টজেনিয়াম
- কোপার্নিশিয়াম
- নিহনিয়াম
- ফ্লেরোভিয়াম
- মস্কোভিয়াম
- লিভারমরিয়াম
- টেনেসিন
- অগানেশন
1 থেকে 30 টি মৌলের প্রতীক কি কি?
1 থেকে 30 টি মউলের প্রতীক কী কী তা নিচে একটি তালিকা আকারে উল্লেখ করে দেয়া হল। এখানে ১ নম্বর থেকে ৩০ নম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন মৌলের প্রতীক দেখতে পারবেন।
- হাইড্রোজেন
- হিলিয়াম
- লিথিয়াম
- বেরিলিয়াম
- বোরন
- কার্বন
- নাইট্রোজেন
- অক্সিজেন
- ফ্লোরিন
- নিয়ন
- সোডিয়াম
- ম্যাগনেসিয়াম
- অ্যালুমিনিয়াম
- সিলিকন
- ফসফরাস
- সালফার
- ক্লোরিন
- আর্গন
- পটাসিয়াম
- ক্যালসিয়াম
- স্ক্যান্ডিয়াম
- ভ্যানিয়াম
- টাইটানিয়াম
- ক্রোমিয়াম
- ম্যাঙ্গানিজ
- আয়রন
- কোবাল্ট
- নিকেল
- কপার
- জিঙ্ক
মৌল ও যৌগ সম্পর্কে কিছু প্রশ্নউত্তর
মৌলিক পদার্থের সংখ্যা কত?
মৌলিক পদার্থের সংখ্যা হচ্ছে ১১৮ টি।
মৌলিক পদার্থের নাম কি?
প্রকৃতিতে মোট ১১৮ টি মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। প্রতিটি মৌলিক পদার্থের নাম আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যেমন – অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, নাইট্রোজেন, তামা, সোনা ইত্যাদি।
পর্যায় সারণির প্রথম মৌল কোনটি?
পর্যায় সারণির প্রথম মৌল হচ্ছে হাইড্রোজেন।
পর্যায় সারণিতে কয়টি মৌল আছে?
পর্যায় সারণিতে মোট ১১৮ টি মৌল আছে।
প্রথম ১০ টি মৌল কি কি?
প্রথম ১০টি মৌল হচ্ছে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, লিথিয়াম, বেরিলিয়াম, বোরন, কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ফ্লোরিন এবং নিয়ন। এগুলো ছাড়াও আরও ১০৮টি মৌল আছে।
মৌল ও যৌগ সম্পর্কে আমাদের মতামত
আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে মৌল কাকে বলে, যৌগ কাকে বলে, ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নাম শেয়ার করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে মৌলিক পদার্থ কাকে বলে, যৌগিক পদার্থ কাকে বলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
মৌল ও যৌগ সম্পর্কে যদি প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে কমেন্ট করুন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। এতক্ষন ডিয়ার টেক ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।