সাইবার সিকিউরিটি কি? সাইবার সিকিউরিটি কিভাবে কাজ করে

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

4.6/5 - (5 votes)

সাইবার সিকিউরিটি কি বর্তমানে বিশ্ব  প্রযুক্তি নির্ভর। আমরা দিন দিন প্রযুক্তির উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। বিনোদনের কেন্দ্র থেকে শুরু করে আর্থিক বড় বড় লেনদেন গুলো ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। ব্যাংকিং থেকে শুরু করে একটি দেশের সরকার ব্যাবস্থায় প্রয়োজনীয় সকল নথী গুলো ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর।

প্রযুক্তি আমাদের জীবন যাত্রার মান বদলে দিয়েছে কিন্তু প্রযুক্তির সাথে সাথে আমাদের এর সিকিউরিটি ব্যবস্থা নিয়ে চিহ্নিত হতে হয়। প্রযুক্তির দূর্বলতার সুজোগ নিয়ে একদল চক্রান্ত কারি এসব তথ্য গুলো চুরি করে। আর এখানেই আমাদের সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে সাইবার সিকিউরিটি।

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো সাইবার সিকিউরটি সম্পর্কে। আমরা অনেকেই হয়ত সাইবার সিকিউরিটির নাম শুনেছি কিন্তু এটা কাজ কিভাবে করে সে সম্পর্কে জানি না। বর্তমানে আমরা প্রায়ই সংবাদে শুনি সাইবার এট্যাক এর ঘটনা মূলত এটা কিভাবে ঘটে আর কিভাবেই বা আমরা আমাদের নিরাপত্তা সিস্টেম গড়তে পারি সেটা নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।

সাইবার সিকিউরিটি কি

সাইবার সিকিউরিটি কি

সাইবার সিকিউরিটি হলো কম্পিউটার বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক কে হামলা থেকে প্রতিহত করার একটা মাধ্যম। ব্যাপারটি যদি আরো বুঝিয়ে বল ধরুন, রকিব সাহেবের কম্পিউটারে তার ব্যাংক ডিটেইলস থেকে শুরু করে তার কাজের বিভিন্ন প্রজেক্ট রয়েছে। যেটা অন্য কেউ যদি হাতিয়ে নেয় তাহলে রকিব সাহেবের বিপুল পরিমানে আর্থিক ক্ষতি হবে। কিন্তু রকিব সাহেব সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি।

অন্যদিকে সাইবার হামলাকারি একজন ব্যাক্তি রকিব সাহেবের কম্পিটারে একটা ছোট ভাইরাস ইনপুট করে দেয়। যেহেতু রকিব সাহেবের কম্পিউটারে কোনো নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নেই তাই ভাইরাস সম্পর্কে সে অবগত হতে পারেনি। এখন এই ছোট ভাইরাসের মাধ্যমে রকিব সাহেবের সমস্ত তথ্য হামলাকারি ব্যাক্তি তার কাছে নিয়ে নেয় এদিকে রকিব সাহেবের কম্পিউটার অচল হয়ে পরে এবং সমস্ত প্রয়োজনিয় ডেটা গুলো এনক্রিপ্টেড হয়ে যায়।

এখন খেয়াল করুন প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবন কে অনেক বেশি পালটে দিয়েছে তবে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন সিকিউরিটি সিস্টেম। আর সাইবার সিকিউরিটি মূলত আমাদের তথ্য গুলো কে ডিজিটাল হামলাকারি বা হ্যাকার হতে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

বিষয় টা কে আপনি চাইলে আপনার বাসা বাড়ির সাথে তূলনা করতে পারেন। আপনার বাসা বাড়ি ডাকাত থেকে রক্ষা করতে যেমন একজন দারোয়ান বা গার্ড রাখেন একই ভাবে কম্পিউটার বা অনলাইনে তথ্য গুলো পাহারা দেয়ার জন্য প্রয়োজন সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেম।

📌 আরো পড়ুন 👇

আশা করি সাইবার সিকিউরিটি কি আর এটা কিভাবে আমাদের সহায়তা করে সে সম্পর্কে ভালো ভাবে ধারণা পেয়েছেন। এখন এই সাইবার সিকিউরিটির অনেক ধরণ আছে। ধরণ অনযায়ী সাইবার সিকিউরিটি কাজ করে থাকে। নিচে আমরা সাইবার সিকিউরিটির প্রকারভেদ গুলো বিস্তারিত তুলে ধরলাম –

সাইবার সিকিউরিটি কত প্রকার

সাইবার সিকিউরিটি অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। দিন দিন এর সাইবার সিকিউরটি কে উন্নিত করার লক্ষ্যে নতুন ধরণের সিকিউরিটি সিস্টেম কে যুক্ত করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু সাইবার সিকিউরিটি কম্পিউটার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কাজ শুরু করে। সাধারণত কম্পিউটারে প্রথম এন্টিভাইরাসের মাধ্যমে ফাইল এর সিকিরিউটি প্রদান করা হতো।

এন্টিভাইরাস গুলো কম্পিউটারের ভাইরাস গুলো অনেক ক্ষেত্রেই সনাক্ত করতে পারতো। যখন নতুন কোনো সফটওয়্যার কম্পিউটারে ইন্সটল করা হয় তখন এন্টিভাইরাস গুলো সেখানে থাকা ম্যালওয়্যার গুলো ডিটেক্ট করে ইউজার কে জানিয়ে দিতে পারে। আবার নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে ফায়ার ওয়েল সিস্টেম নেটওয়ার্কে থাকা আননোন গুলোকে ব্লক করে দিতে পারে। তবে এন্টিভাইরাস গুলো বর্তমানে সময়ে খুব কম ব্যবহার হয়ে থাকে।

কারণ উইন্ডোজ সিস্টেম এখন বিল্ট ইন সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেম যুক্ত করে দিয়েছে যার ফলে আগের তুলনায় কম্পিউটারের সিকিউরিটি ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে আছে। এ ছাড়াও নিচে আমরা কয়েকটি সাইবার সিকিউরিটির প্রকার আলোচনা করলাম –

১। ক্রিটিকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি

সাইবার সিকিউরিটিতে অন্যতম একটি সিস্টেম হলো ক্রিটিকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরটি। এটা এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখান থেকে অনেক কিছু হ্যাকার হতে রক্ষা করা যায়। যেমন ট্র্যান্সপোর্টেসন নেটওয়ার্ক, পাওয়ার প্লান্টস, কমিউনিকেসন সিস্টেম, সাইবার থ্রেটস ইত্যাদি।

এই সিস্টেমে অনেক গুলো টেকনোলজি ব্যাবহার করা হয়। দেশের সরকার তার জনগনের সিকিউরিটির ক্ষেত্রে ক্রিটিকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দেশের মানুষের অর্থ সহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করে এটি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাহিরের কোনো দেশের মাধ্যমে র‍্যান্সম ওয়্যার এটাক প্রতিহত করতে ক্রিটিকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরটি কাজ করে।

নিচের দেয়া চার্ট টি লক্ষ্য করলে আপনি বুঝতে পারবেন ক্রিটিকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরটি কিভাবে আমাদের সাইবার হামলা থেকে রক্ষা করে থাকে।

২। অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি

সাইবার সিকিউরটির মধ্যে আরো একটি সিকিউরিটি সিস্টেম হলো অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি সিস্টেম। বিভিন্ন ভাইরাস ও সাইবার থ্রেট থেকে কম্পিউটারের অ্যাপ্লিকেশন কে রক্ষা করা অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি এর কাজ। সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন গুলো একটি সার্ভারের সাথে কানেক্টেড থাকে। আর সাইবার হামলা হলে সার্ভার গুলো অচল হয়ে যায়।

সার্ভার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন এর সার্ভার গুলো যে সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার করা হয় তাকে অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি সিস্টেম বলে। সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি সিস্টেম এর জন্য যেসব সিকিউরিটি রাখা হয়

  • ফায়ারওয়্যেল
  • এঙ্ক্রিপসন ও ডিক্রিপসন ডেটা
  • এন্ট্যিভাইরাস
  • স্পাইওয়্যার ডিটেকটর এবং রিমুভ প্রোগ্রাম
  • বায়োমেট্রিক অথেনথিক সিস্টেম।

নিচের ছবিটি লক্ষ্য করলে এটা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

৩। নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি

ইন্টারনেট আমরা সবাই ব্যবহার করে থাকি কিন্তু ইন্টারনেটে কানেক্টেড থাকা ডিভাইস যেমন মোবাইল বা কম্পিউটার কতটা নিরাপদে অবস্থানে আছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সাইবার হামলা করা হয় ইন্টারনেটে কানেক্ট থাকা অবস্থায় আপনার ডিভাইস কে নিরাপদ রাখতে ব্যবহার করা হয় নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি সিস্টেম।

নেটওয়ার্ক সিকিউরিটির ক্ষেত্রে ফায়ারওয়েল বিশেষ ভাবে কাজ করে। যখন আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তখন আন-আইডেন্টিফাইড ট্রাফিক গুলো ডিটেক্ট করে ব্লক করে দিতে পারে। মূলত নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি তার কাছে আসা প্রতিটি ট্রাফিক কে চেক করে। চেক করার পর শুধু মাত্র অথেন্টিক ট্রাফিক গুলো কে ইনপুট করে যেসব ট্রাফিক এর অথেনটিক নয় সেগুলোকে সোজা ব্লক করে দেয়।

যার ফলে সাইবার হামলাকারি চাইলেও ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আমাদের ডিভাইসে অটোম্যাটিক ভাইরাস ইনপুট করতে সক্ষম হয় না। নেটওয়ার্ক সিকিউরটি যেভাবে কাজ করে দেখে নিন ছবিতে

৪। ইন্টারনেট অফ থিংস সিকিউরিটি

ইন্টারনেট অফ থিংস যাকে সংক্ষেপে বলা হয় (IOT). ইন্টারনেট অফ থিংস এর সিকিউরটি সিস্টেম বুঝার আগে আমাদের আগে বুঝতে হবে ইন্টারনেট অফ থিংস আসলে কি। সাধারণত ইন্টারনেট হলো বিশ্বের সব নেটওয়ার্ক গুলো একসাথে যুক্ত হয়ে যে ইন্টারকানেক্টেড সিস্টেম তৈরি করেছে তাকে ইন্টারনেট বলে। আর এখানে থিংস বলতে বস্তু ধারণা বোঝানো হয়েছে।

যেখানে আমরা ক্যামেরা, টিভি ইত্যাদি স্মার্ট ডিভাইস গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারি। এখন এই স্মার্ট ডিভাইস গুলোর যদি সিকিউরিটি সিস্টেম দূর্বল থাকে তাহলে সাইবার আক্রমন হবার সম্ভাবনা থাকে। যেমন বলা যায় আমাদের ট্রফিক সিগনাল লাইট। যেটা একটা শহরকে যানজট থেকে বাচায়। এখন এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ডিভাইসে যদি সাইবার এটাক করা হয় তাহলে গোটা শহরের কি অবস্থা তৈরি হতে পারে চিন্তা করে দেখুন।

যখন এই অবস্থার চিন্তা করতে যাবেন ঠিক তখনি চলে আসবে ইন্টারনেট অফ থিংস সিকিউরিটির কথা। যেটা স্মার্ট ডিভাইস গুলো তে সর্বোচ্চ সিকিউরিটি সেবা প্রদান করে থাকে। দিন দিন ইন্টারনেট অফ থিংস এর নিরাপত্তা সেবা উন্নত করা হচ্ছে। সাধারণত যেসব সিকিউরিটি প্রদান করা হয় তা হলো

  • ডিভাইসের একসেস কন্ট্রোল
  • সিকিউর কমিনিউকেসন প্রটোকলস
  • ফ্রেমওয়্যার ও পাচ
  • ডাটা এঙ্ক্রিপসন
  • ডিভাইস কনফিউগার
  • নেটওয়ার্ক আইসোলেসন
  • মনিটরিং থ্রেট সিস্টেম

ইত্যাদি ছাড়াও অনেক ধরণের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা প্রদান করা হয়। নিচের ছবি টি দেখলে বুঝতে পারবেন

৫। ক্লাউড সিকিউরিটি

ক্লাউড হলো যেখানে বিভিন্ন ধরণের এপলিকেসন এর ডেটা গুলো কে হোস্ট করে রাখা হয়। অনেক ক্ষেত্রে স্টোরেজ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্লাউড ব্যবহার করা হয়। যেমন ধরা যায় গুগল ড্রাইভ, ক্লাউড হোস্টিং ইত্যাদি। এ ধরণের ক্লাউড ডেটা কে সাইবার হামলা থেকে রক্ষা করতে ক্লাউড সিকিউরিটি ব্যবহার করা হয়।

সাইবার সিকিউরিটি কিভাবে কাজ করে

সাইবার সিকিউরিটি কি, সাইবার সিকিউরিটি কিভাবে কাজ করে

সাইবার সিকিউরিটি ডিভাইস ভেদে ভিন্ন ভাবে কাজ করে তবে কাজের উদ্দেশ্য একটাই সেটা হলো হামলা থেকে ইউজার কে রক্ষা করা। কোনো হামলা কারি যাতে আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করে আপনার ডাটা ও তথ্য হাতিয়ে নিতে না পারে সে ব্যবস্থায় কাজ করে।

মোট কথা তৃতীয় কোনো ব্যাক্তির হাত থেকে সরাসরি রক্ষা করতে সাহায্য করে। যদি এরকম কোনো কিছু ঘটে সেটা কে রিমুভ করার ক্ষেত্রেও সাইবার সিকিউরিটি কাজ করে থাকে। যা আমরা উপরে আগেই বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছি।

আধুনিক সমাজে সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব

আধুনিক সমাজ বলতে আমরা বুঝি প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ কে। বর্তমান বিশ্বে যে দেশ যত বেশি প্রযুক্তিনির্ভর তারা সবচেয়ে বেশি আধুনিক। তো আধুনিক সমাজের সংজ্ঞা থেকে আমরা বুঝি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি নির্ভর হতে হবে। আর আধুনিক সমাজের প্রান হলো প্রযুক্তি।

এখন যদি প্রযুক্তি কে সাইবার আক্রমন থেকে রক্ষা করা না যায় তাহলে এটা আধুনিক সমাজের জন্য হুমকি। মানুষের ব্যাক্তিগত ডাটা, আর্থিক লেনদেন সব কিছু প্রযুক্তি নির্ভর। এমন কি আপনার বাসার সিকিউরিটি ক্যামেরা টাও প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার পূর্বেই প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

দিন দিন সাইবার হামলা বেড়ে চলছে। অনলাইনে প্রতারণার মাধ্যমে টার্গেট কে কনভিন্স করার মাধ্যমে দুস্কৃতি কারিরা ক্ষতি করছে। প্রযুক্তি তে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা থাকলেও সাবধান থাকতে হবে আপনাকে। কারণ আপনার সামান্য একটি ভুলে হয়ে যেতে পারে অনেক বড় ক্ষতি।

বিশেষ করে আপনি যদি অনলাইন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে কম্পিউটার আপনার কতটা নিরাপদ? আপনার কম্পিউটারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্রাক সফটওয়্যার ব্যাবহার করার মাধ্যমে সাইবার হামলা বেড়ে চলেছে। আপনার কাছে ডিজিটাল ডিভাইস থাকা মানে আপনাকে তার নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কে নিশ্চিত করে নিতে হবে।

বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিটির বাস্তব চিত্র

সাইবার সিকিউরিটি কি, বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিটির বাস্তব চিত্র

বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নড়বড়ে অবস্থানে আছে বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেম। এ দেশের মানুষের কথা বাদ দিলাম কারন ৯০% মানুষ সাইবার এট্যাক সম্পর্কে কোনো ধারণাই রাখে না। যদি সরকারি খাত এর কথা চিন্তা করি সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নেই। দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদপত্রে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিশেজ্ঞরা দাবি করেছেন সবচেয়ে ঝুকিতে আছে আমাদের আর্থিক খাত গুলো।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ টাকা দিয়ে সফটওয়্যার কেনার পর্যায় নেই। তাই ক্রাক সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি। আর এর মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে ভাইরাস গুলো নিজেরাই ইনপুট করে দিচ্ছে। বড় ধরণের কোনো সাইবার হামলা বাংলাদেশে হলে সেটা থেকে উত্তরণের পন্থা ও সিকিউরিটি নিয়ে এখনি ভাবা উচিত।

সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে আমাদের মতামত

সাইবার সিকিউরিটি কি আর্টিকেলে আমরা সাইবার হামলা সম্পর্কিত সকল কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। দৈনন্দিন জীবনে আপনার ব্যবহার করা সোশ্যাল মিডিয়া অথবা কম্পিউটার সকল ক্ষেত্রে এর নিরাপত্তা সর্বোচ্চ পর্যায়ের করে নিন। কে জানে কোনো একদিন হয়ত আপনি ও হতে পারেন সাইবার হামলাকারির স্বীকার, আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 


পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment