ব্লক চেইন কি? ব্লক চেইন প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে? ব্লক চেইনের সুবিধা কি

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

5/5 - (1 vote)

ব্লক চেইন হচ্চে আধুনিক প্রযুক্তি গুলোর মধ্যে অন্যতম। আজকের আর্টিকেলে আমরা ব্লক চেইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ব্লকচেইন সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

আমরা যতো বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছি ঠিক ততো বেশি পরিমানে প্রয়োজন বাড়ছে অনলাইন সিকিউরিটির। ব্লকচেইন কে ওয়েব ৩.০ এর আওতায় রাখা হয়েছে। বর্তমান সময় আমরা যে সকল ব্রাউজার অথবা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করি এগুলো সাধারণত ওয়েব ২.০ এর আওতায় পরে। 

ওয়েব ৩.০ কি এটা আমরা অন্য কোনো আর্টিকেলে বিস্তারিত আপনাদের জানাবো। আজকে আমরা শুধু ওয়েব ৩.০ এর একটা প্রযুক্তি ব্লক চেইন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবো।  অনেকেই জানেন না ব্লক চেইন কিভাবে কাজ করে আর ব্লক চেইন এর সুবিধা গুলো আসলে কি। 

ব্লক চেইন প্রযুক্তি কি

ব্লক চেইন কি

বলা হয় যে আগামি ২০৩০ সালের মধ্যে ইন্টারনেট দুনিয়ায় রাজ করবে ব্লক চেইন প্রযুক্তি। ব্লক চেইন প্রযুক্তি ইন্টারনেট কে আরো বেশি সেফ পর্যায় নিয়ে যাবে। তবে চলুন জেনে নেই ব্লক চেইন প্রযুক্তি মূলত কি? 

ব্লক চেইন প্রযুক্তি সাধারণত একধরণের ডিস্ট্রিবিউট  লেজার প্রযুক্তি। যার কাজ হলো ডেটা কে সুরক্ষিত রাখা। এই প্রযুক্তির মধ্যে যে সকল ডেটা গুলো থাকবে সেগুলো চাইলেও কেউ এডিট অথবা হ্যাক করতে পারবে না। কারন এটা সব গুলো স্টোরে একই  সাথে স্থানান্তর করা হয়। আর যদি কেউ পূর্বের ডেটা এডিট করতে চায় তাহলে সব গুলো ডেটা ইনভ্যালিড হয়ে যাবে।

📌 আরো পড়ুন 👇

কিছুটা কঠিন লাগছে তাইতো? আরো সহজ ভাবে যদি বুঝাই তাহলে উদাহরণ এর মাধ্যমে বোঝাতে হবে – মনে করুন, বর্তমানে তথ্য আদান প্রদান এর জন্য সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক। এখন, ফেসবুক কিন্তু আমাদের অজান্তে আমাদের ব্যাক্তিগত ডেটা চুরি করে বিজ্ঞাপন দাতাদের কাছে বিক্রি করে। যার ফলে আমরা যে সব বিষয় গুলো সম্পর্কে সার্চ করি  বা অন্যের সাথে কথা বলি। সেগুলোর বিজ্ঞাপন আমাদের সামনে চলে আসে।

এখন, ডেটা কে সাধারণত দুটি উপায় সংরক্ষণ করা হয়। 

  • সেন্ট্রাল ডেটা স্টোর
  • ডিসেন্ট্রাল ডেটা স্টোর

ফেসবুকে আমরা যখন কারো সাথে কথা বলি তখন এই ডেটা গুলো সেন্ট্রাল ডাটাবেজে স্টোর হয়। মূলত এখানে, আমি যদি কাউকে ফেসবুকে ‘HI” মেসেজ লিখি তার একটি কপি থাকবে আমার কাছে আর আরেকটা থাকবে যাকে আমি মেসেজ লিখেছি তার কাছে। আর দুটো ডেটা এই থাকবে সেন্ট্রাল ডাটাবেইজে।

যদি ফেসবুকের মালিক চায় তো সেন্ট্রাল ডাটাবেইজ থেকে আমরা কি নিয়ে কথোপকথন করেছি সেটা সে জানতে পারবে। আবার এই ডেটা কে যে কেউ চাইলে হ্যাক করতে পারবে বা এডিট করতে পারবে। সেন্ট্রাল ডাটাবেইজ গুলো একদম এই সেইফ না কারণ এখানে ৩য় ব্যাক্তি আপনার ডেটা কে সহজেই দেখতে পারে। আর আপনি চাইলেও এটাকে লুকাতে পারবেন না। তাই এগুলোকে ওয়েব ২.০ এর আওতায় ধরা হয়। 

এবার আসুন জানি ডিসেন্ট্রাল ডেটাবেস সম্পর্কে। সেন্ট্রাল ডেটাবেজ গুলো সকল কিছুর তথ্য একটা স্থানে স্টোর করে রাখা হয় তবে ডিসেন্ট্রাল ডেটাবেইজ লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে সবার ফোনে ডিস্ট্রিবিউট করা হয়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো স্থানে এই ডেটা গুলো স্টোর হয় না। 

এই প্রযুক্তি দিয়ে ধরুন আপনি আপনার বন্ধুকে “HI” লিখলেন আর ডেটা টি আপনার কাছে আর আপনার বন্ধুর কাছেই থাকবে স্টোর করা। যেটা আপনি আর আপনার বন্ধু ছাড়া তৃতীয় কোনো ব্যাক্তি দেখতে পারবে না। আর যদি কেউ হ্যাক করে দেখতে চায় সেটাও সম্ভব না যদি এখানে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

মূলত ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় ডিসেন্ট্রাল ডাটা স্টোর করার ক্ষেত্রে। ব্লক চাইন মূলত ডেটা গুলো কে লেজার এর মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউট করে দেয়। অর্থ্যাৎ সবার ডিভাইসে নির্ধারিত ডেটা গুলো সেফ করে রাখে। আর প্রতিটি নতুন নতুন ডেটার জন্য একটা করে ব্লক তৈরি করে। প্রতিটি ব্লক এর সাথে প্রতিটি ব্লক চেইন দিয়ে কানেক্টেড থাকে। 

তাই এই প্রযুক্তি কে ব্লক চেইন প্রযুক্তি বলা হয়। তখন পুরাতন ডেটার ব্লক টি অটোম্যাটিক লক হয়ে যায়। যদি কোনো তৃতীয় ব্যাক্তি লকড হওয়া ব্লক এর ডেটা দেখতে চায় তবে সকল ডেটা গুলো ইনভ্যালিড হয়ে যাবে। তাহলে বোঝা যায় যে ব্লক চেইন প্রযুক্তি আমাদের ইন্টারনেট দুনিয়া কে পরিবর্তন করে দিতে চলেছে। 

ব্লকচেইন জনপ্রিয় কেন

ব্লক চেইন খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি কারণ হলো এদের সিকিউরিটি ব্যাবস্থা। ধরুন ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধুকে কিছু টাকা পাঠালেন। এখন আপনার লেনদেনের সকল তথ্য কিন্তু ব্যাংকের নির্দিষ্ট ডেটা স্টোরে গিয়ে জমা হলো। এখান থেকে তৃতীয় ব্যাক্তি সব কিছু দেখে নিয়ে আপনার টাকা হাওয়া করে দিতে পারে। কিন্তু ব্লক চেইন পদ্ধতিতে ডেটা স্টোর না থাকায় কেউ চাইলেও কোনো তথ্য দেখতে পারবে না।

ব্লক চেইন প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে

ব্লক চেইন প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে

বর্তমানে সময়ে বড় বড় নামি দামি কোম্পানি গুলো ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সকল ধরণের লেনদেন সম্পন্ন করে থাকে। বিশ্বের মদ্যে সব বড় ব্যবসায়িদের ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেখা যায়। কিন্তু আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে এর সিকিউর একটা নেটওয়ার্ক আসলে কাজ কিভাবে করে। ব্লক চেইন প্রযুক্তি মূলত ০৩ টি প্রযুক্তির সমন্বয়ে কাজ করে থাকে

  1.     ক্রিপ্টোগ্রাফিক্স কি
  2.     পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক
  3.     রেকর্ড অফ দ্যা নেটওয়ার্ক

১। ক্রিপ্টোগ্রাফিক্স কি

এটা মূলত দুটি চাবি একটা প্রাইভেট আরেকটা হলো পাবলিক। এই প্রযুক্তির কাজ হচ্ছে সফল ভাবে দুইজন এর মধ্যে লেনদেন সম্পন্ন করা। আর দুজন ব্যাক্তির কাছেই দুটি করে চাবি থাকবে। যেটা দিয়ে তারা তাদের লেনদেন এর প্রমান দেখাতে পারবে। আর এটাকে বলা হয় ডিজিটাল সিগনেচার যা শুধু মাত্র বিশ্বের মধ্যে ব্লকচেইন প্রযুক্তি দিতে পারে। আর এই ডিজিটাল সিগনেচার লেনদেন এর সকল তথ্য বহন করে থাকে।

২। পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক

ডিজিটাল সিগনেচার কে দুটো নেটওয়ার্ক কে যুক্ত করে দেয় আপনি যদি নিচের ছবি টি লক্ষ্য করে থাকেন তাহলে বুঝতে পারেন।

৩। রেকর্ড অফ দ্যা নেটওয়ার্ক

লেনদেন এর হিসাব গুলো দুটো নেটওয়ার্ক এর সাথে ব্লক করে লকড হয়ে যায়। যার ফলে যার ডিভাইস সে শুধু মাত্র এসকল তথ্য দেখতে পারে। কোনো তৃতীয় ব্যাক্তি যখন উক্ত নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে এই তথ্য গুলো দেখার চেষ্টা করবে তখন প্রথম ব্লক টি লক হবে। আর এভাবে লক হয়ে সব ব্লক গুলো কে লক করে দিতে পারবে ব্লক চেইন পদ্ধতি।

ব্লকচেইনের ধরণ

ব্লক চেইন অনেক ধরণের আছে। নিচে আমরা ব্লকচেইনের প্রকার গুলো তুলে ধরলাম

১। প্রাইভেট ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক

বড় বড় কোম্পানি গুলো প্রাইভেট ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকে। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি ডিভাইস একটি মাত্র নেটওয়ার্ক এর মধ্যে যুক্ত থাকে। আর এখানে তৃতীয় কোনো নেটওয়ার্কের ডিভাইস যুক্ত হতে পারে না। এ ধরণের নেটওয়ার্ক শুধু মাত্র একজনেই ম্যানেজ করতে পারে।

২। পাবলিক ব্লক চেইন নেটওয়ার্ক

পাবলিক ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক গুলো তে যে কেউ চাইলে একসেস নিতে পারবে আর ব্যবহার করতে পারবে। বিটকয়েন ও অন্য সব ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলো পাবলিক ব্লক চেইন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকে।

৩। কন্সরটিউম ব্লক চেইন নেটওয়ার্ক

এই নেটওয়ার্কের আওতায় পাবলিক ও প্রাইভেট দুটো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যায়। ইউজার এর পছন্দ অনুযায়ী সে সিলেক্ট করে নিতে পারবে সে কোন ধরণের নেটওয়ার্ক এখানে ব্যবহার করবে।

৪। হায়ব্রিড ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক

এ ধরণের নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে কিছু ইউজার দের জন্য প্রাইভেট ও পাবলিক ফিল্টার করে দেয়া যায়। বিশেষ করে প্রাইভেসি এর জন্য এই ব্লক চেইন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৫। সাইড চেইন নেটওয়ার্ক

সাইড চেইন হলো একটি আলাদা ধরণের ব্লক চেইন পদ্ধতি। যেখানে ইউজার দের বাড়তি অনেক ধরণের সুবিধা প্রদান করা হয়। বিশেশ করে ব্লক চেইন এর সকল ফিচার এই প্রযুক্তি তে ব্যবহার করা যায়। সাইড চেইন যে কোনো লেনদেন ক্ষেত্রেও ভালো ভাবে ব্যবহার করা যায়।

ব্লক চেইন প্রযুক্তির সুবিধা কি

ব্লক চেইন কি, ব্লক চেইনের সুবিধা কি

ব্লক চেইন প্রযুক্তির সুবিধা আসলে সকল ক্ষেত্রেই। আমরা সব ক্ষেত্রেই ৩য় কোনো ব্যাক্তির কাছে যাই। যেমন ধরুন  ব্যাংক। আমরা টাকা জমানোর জন্য ব্যাংক কে আমরা বিশ্বাস করি আর সারাজীবন ধরে সঞ্চয় করি। এখানে, ব্যাংকের যিনি মালিক তিনি চাইলে আমার একাউন্ট এর সব কিছু পরিবর্তন করে টাকা গুলো অন্যের নামে দিয়ে দিতে পারে। কারন ব্যাংক গুলোতে আপনার ডেটা গুলো নির্দিষ্ট একটি সার্ভারে স্টোর করা আছে। 

যেহেতু আপনার সকল তথ্য তাদের কাছে তাই আপনি ব্যাংকের কাছে নির্ভর করে আছেন। আবার এখান থেকে অন্য কোনো ব্যাক্তি হ্যাক করেও আপনার সব তথ্য বদল করে দিতে পারে। যদি তারা ইচ্ছা করে আপনাকে ফকির করে দিতেও সময় লাগবে না। তবে ব্লক চেইন পদ্ধতি লেনদেন এর সকল ডেটা গুলো লেজার মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউট করে। 

যদি কোনো ব্যাক্তি এই তথ্য গুলো কে পরিবর্তন করতে চায় তবে সব গুলো ডিস্ট্রিবিউট করা স্টোর এর ডেটা পরিবর্তন করতে হবে। আবার এই ডিস্ট্রিবিউট করা ডেটা গুলোর ব্লক গুলো লক হয়ে যায়। আর লক হওয়া ব্লকের ডেটা দেখতে চাইলে সব ডেটা ইনভ্যালিড হয়ে যায়। তাই হাজার চেষ্টা করলেও এটা কখনো সম্ভব না। 

📌 আরো পড়ুন 👇

নিচে আমরা ব্লক চেইন প্রযুক্তির  এর কয়েকটি সুবিধার দিক উল্লেখ করলাম –

১। সুরক্ষা : অনলাইনে আপনাকে সর্বোচ্চ পরিমান সুরক্ষা ব্যবস্থা দিতে পারে ব্লক চেইন প্রযুক্তি। বিশেষ করে টাকা লেনদেন এর ক্ষেত্রে। 

২। ডিসেন্ট্রাল স্টোর : ব্লক চেইন প্রযুক্তির সমস্ত ডেটা গুলো ডিস্ট্রিবিউট করা থাকে। এখান থেকে ডেটা চুরি বা হ্যাক হওয়ার কোনো ভয় থাকে না। 

৩। দ্রুত লেনদেন সুবিধা: ব্লক চেইন ব্যবহার করে অল্প সময়ের মধ্যে লেনদেন করা যায়। 

৪। অর্থনৈতিক সুবিধা: শুধু অর্থনৈতিক নয় হেলথকেয়ার সহ যাবতীয় অনেক দিক থেকে ব্লক চেইন আপনাকে সুবিধা প্রদান করবে। 

৫। লেনদেন সুবিধা: প্রাচীন কাল থেকে মানুষ লেনদেন এর ক্ষেত্রে ৩য় ব্যাক্তির কাছে টাকা গচ্ছিত রাখে তবে এই প্রযুক্তি পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক। তাই আপনি যার সাথে লেনদেন করবেন সেটা ছাড়া আর কাউকে আপনার প্রয়োজন পরবে না। 

ব্লক চেইন এর উদ্ভাবক কে

আপনারা হয়ত নিশ্চয়ই বিটকয়েনের নাম শুনেছেন। মূলত এই বিটকয়েন ব্যাবস্থায় ব্লক চেইন প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে। ব্লক চেইন এর উদ্ভাবক সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি তবে ধারণা করা হয় – Satosi Nakamoto হলেন ব্লক চেইন প্রযুক্তির উদ্ভাবক। তবে এই ব্যাক্তি এখনো মানুষের কাছে অপরিচিত। 

ব্লক চেইন সম্পর্কে আমাদের মতামত 

ব্লক চেইন প্রযুক্তি কি আশা করি সেটা বুঝতে পেরেছেন। আমরা চেষ্টা করেছি একদম সহজ ভাষায় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। তবে একটা কথা আছে,  ঘর যতই মজবুত হোক না কেন যদি দরজা শক্তিশালী না হয় তবে কোনো লাভ নেই। তো ব্লক চেইনের ও অনেক দূর্বলতা আছে যা অনেক এক্সপার্ট প্রোগ্রামার রা এর ত্রুটি তুলে ধরেছেন। 

তবে ব্লক চেইন যদি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে যায় তবে জায়ান্ট কোম্পানি ফেসবুক, গুগল তারাই বা কি করবে?  সেটাই এখন দেখার বিষয়। আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।


পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment