ড. মুহাম্মাদ ইউনুস কে? ড. মুহাম্মাদ ইউনুস এর জীবনী

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস বর্তমানে পরিচিত একটি নাম বাংলাদেশে। বর্তমান নতুন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা  হলেন ড. মুহাম্মাদ ইউনুস। দীর্ঘ ১৬ বছরের একটি দলীয় শোসন থেকে ছাত্র সমাজ দেশ কে নিপিড়ন থেকে রক্ষা করার পর, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। 

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ড. মুহাম্মাদ ইউনুস সম্পর্কে অবগত নন। বিভিন্ন মানুষ তাকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে গ্রহণ করেন তবে আপনি জেনে অবাক হবেন শান্তিতে প্রথম ও বর্তমানে একমাত্র বাংলাদেশী নোবেল জয়ী হলেন ড. মুহাম্মাদ ইউনুস.

আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে ড. মুহাম্মাদ ইউনুস সম্পর্কে জানাবো। ড. মুহাম্মাদ ইউনুস সম্পর্কে শুধু মাত্র একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত তুলে ধরা সম্ভব নয় তবে আমরা শুধু প্রধান দিক গুলো তুলে ধরবো। যা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের জেনে রাখা অনেক বেশি দরকার। তাকে নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস জন্ম পরিচয়

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস চট্রগ্রাম জেলার “হাটহাজারী” উপজেলার বাথুয়া গ্রামে ২৮ জুন ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল “হাজী দুলা মিয়া সওদাগর” এবং মাতার নাম ছিল ” সুফিয়া খাতুন”। তার পিতা পেশায় একজন জহুরি ছিলেন। ড. মুহাম্মাদ ইউনুস ছিলেন দুই ভাই ও ৯ বোনের মধ্যে তৃতীয়।

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস কে, ড. মুহাম্মাদ ইউনুস এর জীবনী

ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের শিক্ষা জীবন

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস এর শিক্ষা জীবন তার গ্রামের একটি বিদ্যালয় যার নাম ” মহাজন ফকিরের স্কুল” থেকে শুরু হয়। তার পরিবার যখন চট্রগ্রাম শহরে আসেন তখন তিনি চট্টগ্রাম শহরের ” লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে” পড়াশোনা শুরু করেন। 

মাধ্যমিকে অধ্যায়নকালীন অবস্থায় চট্রগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ৩৯ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ তম স্থানে উত্তির্ন হন। উল্লেখ্য তিনি সপ্তম শ্রেণীতে থাকাকালীন মাত্র ১৫ বছর বয়সে বয়েজ স্কাউটস পক্ষ থেকে কানাডা, এশিয়া, যুক্তরাষ্ট ও ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করা শুরু করেন।

উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার জন্য তিনি ভর্তি হন চট্রগ্রাম কলেজে। কলেজ জীবনে তিনি নানান ধরণের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যোগ দিতেন। কলেজ জীবনে নাটকে অভিনয় এর মাধ্যমে প্রথম পুরস্কার অর্জন শুরু করেন। 

কলেজ জীবনে তিনি প্রথম সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন পাশাপাশি তিনি “আজাদী” পত্রিকায় কলাম লিখতেন। উচ্চ মাধ্যমিক শেষে তিনি “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” থেকে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরবর্তী তে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমএ সম্পন্ন করেন। 

ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের কর্মজীবন

শিক্ষাজীবনে ড. মুহাম্মাদ ইউনুস অত্যান্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি কর্মজীবন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এর পরে। প্রথমে তিনি ‘ ব্যুরো অফ ইকোনমিকস ‘ এ গবেষণা সহকারী হিসেবে যুক্ত হন।

১৯৬২ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৯৬৫ সালে তিনি পিএচডি করার জন্য ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট গমন করেন। সেখান থেকে সফলতার সাথে পূর্ন বৃত্তি নিয়ে ‘ফেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়” হতে ১৯৬৯ সালে পিএচডি ডিগ্রি লাভ করেন। 

অতঃপর ১৯৬৯ হতে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্ট্রেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ছিলেন। ১৯৭২ সালে আবার দেশে ফিরে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৫ সালে ড. মুহাম্মাদ ইউনুস অধ্যাপক পদে প্রমোশন পান এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন।

📌 আরো পড়ুন 👇

অধ্যাপক পদে কর্মরত থাকাকালীন তিনি ১৯৭৬ সালে গ্রামীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। দেশের দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন এর লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋন প্রদান করা ছিল গ্রামীন ব্যাংকের মূল লক্ষ্য। ড. মুহাম্মাদ ইউনুস সফল হন দেশের দারীদ্রতা দূর করতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ড. মুহাম্মাদ ইউনুস গ্রামীন ব্যাংক ব্যাপক প্রশংশা লাভ করে। 

তখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রামীন ব্যাংকের ন্যায় বিভিন্ন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান তৈরি হওয়া শুরু করে। তার এই অবদানের জন্য ড. মুহাম্মাদ ইউনুস এবং গ্রামীন ব্যাংক ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তী তে ড. মুহাম্মাদ ইউনুস কে ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হয় এবং ৯ আগস্ট ২০২৪ সালে তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধে ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের অবদান 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ড. মুহাম্মাদ ইউনুস এর অনেক অবদান ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব দরবারে জনমত গড়ে তোলেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে চড়ম দুর্ভিক্ষ আঘাত হানলে ড. মুহাম্মাদ ইউনুস দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন এর জন্য গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশ হতে দরিদ্র দূর করার জন্য সংগ্রাম করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি “তেভাগা” খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামে গ্রহণ করে।

ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের ব্যাক্তিগত জীবন

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস এর ব্যাক্তিগত জীবন সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য ইন্টারনেট সোর্সে উল্লেখ্য নেই। তবে ড. মুহাম্মাদ ইউনুস এর ভাই  মুহাম্মাদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। ড. মুহাম্মাদ ইউনুস এর ছোট ভাই জাহাঙ্গীর জনপ্রিয় টিভি ব্যাক্তিত্ব।

তিনি প্রথমে ভেরা ফরোস্টেনকো কে বিয়ে করেন ১৯৭০ সালে। ১৯৭৯ সালে বিচ্ছেদ হওয়ার পর তিনি আফরোজী ইউনুস কে ১৯৮৩ সালে বিয়ে করেন। পরিবারে তিনি দুই কণ্যার জনক।  এক মেয়ের নাম মনিকা ইউনুস ও অন্য মেয়ের নাম দীনা আফরোজ ইউনুস।

ব্যাক্তিগত জীবনে ড. মুহাম্মাদ ইউনুস কোনো দল করেন না। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তাব জানালে তিনি রাজি হন নি। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরে তিনি “নাগরিক শক্তি” নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তবে পরবর্তীতে এটি বাদ দেন। 

ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের প্রকাশিত গ্রন্থগুলো

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস উচ্চ মাধ্যমিক জীবন থেকে নিজেকে সাহিত্য লেখার সাথে যুক্ত করেন। তার জ্ঞান সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য অনেক গুলো গ্রন্থ তিনি প্রকাশ করেন। যার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি গ্রন্থের নাম হলো –

  • পথের বাধা সরিয়ে দিন, মানুষ কে এগুতে দিন
  • গ্রামীন ব্যাংক ও আমার জীবন
  • দারীদ্রহীন বিশ্বের অভিমুখে
  • Creating World Without Poverty
  • Three Farmers of Jobra
  • Building Social Business

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস অর্জিত পুরস্কার

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস কে, ড. মুহাম্মাদ ইউনুস এর জীবনী

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নোবেল পুরস্কার ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন।  তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের  অনেক গুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬২ টি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল লাভ করেন। তিনি ২৬ টি দেশ থেকে মোট ১১৩ টি পুরস্কার লাভ করেন। যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কয়েকটি পুরস্কার হলো –

  • প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড। (১৯৭৮)
  • রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার। (১৯৮৪)
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৫)
  • স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৭)
  • আগা খান অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৯)
  • কেয়ার পুরস্কার। (১৯৯৩)
  • নোবেল পুরস্কার (শান্তি)। (২০০৬)
  • মানবহিতৈষণা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র। (১৯৯৩)
  • মুহাম্মদ সাহেবুদ্দিন বিজ্ঞান (সামাজিক অর্থনীতি) পুরস্কার,শ্রীলঙ্কা (১৯৯৩)
  • রিয়াল এডমিরাল এম এ খান স্মৃতি পদক,বাংলাদেশ (১৯৯৩)
  • বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার,যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
  • পিফার শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
  • ডঃ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণ পদক, বাংলাদেশ (১৯৯৪)
  • ম্যাক্স সছমিধেইনি ফাউন্ডেশন ফ্রিডম পুরস্কার,সুইজারল্যান্ড (১৯৯৫)
  • ঢাকা মেট্রোপলিটন রোটারারি ক্লাব ফাউন্ডেশন পুরস্কার, বাংলাদেশ (১৯৯৫)
  • আন্তর্জাতিক সাইমন বলিভার পুরস্কার (১৯৯৬)
  • ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট আলামনাই পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৬)
  • আন্তর্জাতিক একটিভিটিস্ট পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
  • প্লানেটরি কনশিয়াশনেস বিজনেস ইনোভেশন পুরস্কার, জার্মানি (১৯৯৭)
  • হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার,নরওয়ে (১৯৯৭)
  • শান্তি মানব পুরস্কার (ম্যান ফর পিস এওয়ার্ড), ইতালি (১৯৯৭)
  • বিশ্ব ফোরাম পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
  • ওয়ান ওয়ার্ল্ড ব্রডকাস্টিং ট্রাস্ট মিডিয়া পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (১৯৯৮)বিশ্ব
  • দ্যা প্রিন্স অফ আউস্তুরিয়া এ্যাওয়ার্ড ফর কনকর্ড, স্পেন (১৯৯৮)
  • সিডনি শান্তি পুরস্কার, অস্ট্রেলিয়া (১৯৯৮)
  • অযাকি (গাকুডো) পুরস্কার, জাপান (১৯৯৮)
  • ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
  • জাস্টটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার,ফ্রান্স (১৯৯৮) ( Les Justes D’or )
  • রোটারারি এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়ার্ল্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৯)
  • গোল্ডেন পেগাসাস এ্যাওয়ার্ড, ইটালি (১৯৯৯)
  • রোমা এ্যাওয়ার্ড ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান, ইটালি (১৯৯৯)
  • রাথিন্দ্রা পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
  • অমেগা এ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্সি ফরব লাইফ টাইম এচিভমেন্ট, সুইজারল্যান্ড (২০০০)
  • এ্যাওয়ার্ড অফ দ্যা মেডেল অফ দ্যা প্রেসিডেন্সি,ইটালি (২০০০)
  • কিং হুসেইন হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড, জর্ডান (২০০০)
  • আই ডি ই বি গোল্ড মেডেল এ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ (২০০০)
  • আরতুসি পুরস্কার, ইটালি (২০০১)
  • গ্র্যান্ড প্রাইজ অফ দ্যা ফুকুওকা এশিয়ান কালচার পুরস্কার, জাপান (২০০১)
  • হো চি মীণ পুরস্কার, ভিয়েতনাম (২০০১)
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পুরস্কার ‘কাজা ডি গ্রানাডা’, স্পেন (২০০১)
  • নাভারা ইন্টারন্যাশনাল এইড এ্যাওয়ার্ড, স্পেন (২০০১)
  • মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০২)
  • বিশ্ব টেকনোলজি নেটওয়ার্ক পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (২০০৩)
  • ভলভো পরিবেশ পুরস্কার, সুইডেন (২০০৩)
  • জাতীয় মেধা পুরস্কার, কলম্বিয়া (২০০৩)
  • দ্যা মেডেল অফ দ্যা পেইন্টার অসওয়াল্ড গুয়ায়াসামিন পুরস্কার, ফ্রান্স (২০০৩)
  • তেলিছিনকো পুরস্কার, স্পেন (২০০৪)
  • সিটি অফ অরভিতো পুরস্কার, ইটালি (২০০৪)
  • দ্যা ইকোনমিস্ট ইনোভেশন পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  • ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  • লিডারশীপ ইন সোশ্যাল অন্টাপ্রিনেয়ার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  • প্রিমিও গ্যালিলীয় ২০০০ স্পেশাল প্রাইজ ফর পিস ২০০৪, ইটালি (২০০৪)
  • নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার, জাপান (২০০৪)
  • গোল্ডেন ক্রস অফ দ্যা সিভিল অর্ডার অফ দ্যা সোশ্যাল সলিডারিটি,স্পেন (২০০৫)
  • ফ্রিডম এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৫)
  • বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি গোল্ড মেডেল, বাংলাদেশ (২০০৫)
  • প্রাইজ ২ পন্টে, ইটালি (২০০৫)
  • ফাউন্ডেশন অফ জাস্টিস, স্পেন (২০০৫)
  • হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি নেউসতাদ এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
  • গ্লোব সিটিজেন অফ দ্যা ইয়ার এ্যাওয়ার্ড,যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
  • ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বাধীনতা পুরস্কার, নেদারল্যান্ড (২০০৬)
  • ইতু বিশ্ব তথ্য সংগঠন পুরস্কার, সুইজারল্যান্ড (২০০৬)
  • সিউল শান্তি পুরস্কার, কোরিয়া (২০০৬)
  • কনভিভেঞ্চিয়া (উত্তম সহকারিতা) সেউতা পুরস্কার, স্পেন (২০০৬)
  • দুর্যোগ উপশম পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৬)
  • সেরা বাঙালী, ইন্ডিয়া (২০০৬)
  • গ্লোবাল ট্রেইলব্লেজার পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • এ বি আই সি সি এ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশীপ ইন গ্লোবাল ট্রেড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • সামাজিক উদ্যোক্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • বিশ্ব উদ্যোগী নেতৃত্ব পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • রেড ক্রস স্বর্ণ পদক, স্পেন (২০০৭)
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম শত বার্ষিকী স্মারক, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  • ই এফ আর বাণিজ্য সপ্তাহ পুরস্কার,নেদারল্যান্ড (২০০৭)
  • নিকলস চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • ভিশন এ্যাওয়ার্ড, জার্মানি (২০০৭)
  • বাফি গ্লোবাল এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • রুবিন মিউজিয়াম মানডালা এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • সাকাল বর্ষ ব্যক্তিত্ব পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  • ১ম আহপাডা গ্লোবাল পুরস্কার, ফিলিপাইন (২০০৭)
  • মেডেল অফ ওনার, ব্রাজিল (২০০৭)
  • জাতিসংঘ সাউথ- সাউথ সহযোগিতা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • প্রোজেক্ট উদ্যোগী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য মিশন পুরস্কার, নিউইয়র্ক (২০০৮)
  • কিতাকইয়ুশু পরিবেশ পুরস্কার, জাপান (২০০৮)
  • চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • প্রেসিডেন্স পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • মানব নিরাপত্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • বাৎসরিক উন্নয়ন পুরস্কার, অস্টিয়া (২০০৮)
  • মানবসেবা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • শিশু বন্ধু পুরস্কার,স্পেন (২০০৮)
  • এ জি আই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  • করিনি আন্তর্জাতিক গ্রন্থ পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  • টু উয়িংস প্রাইজ,জার্মানি (২০০৮)
  • বিশ্ব মানবতাবাদী পুরস্কার, ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  • ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড ,ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  • এস্টরিল গ্লোবাল ইস্যু’স ডিসটিনগুইশড বুক প্রাইজ, পর্তুগাল (২০০৯)
  • এইসেনহওয়ের মেডেল ফর লিডারশীপ অ্যান্ড সার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • গোল্ডেন বিয়াটেক এ্যাওয়ার্ড, স্লোভাকিয়া (২০০৯)
  • গোল্ড মেডেল অফ ওনার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • পি আই সি এম ই টি এ্যাওয়ার্ড, পোর্টল্যান্ড (২০০৯)
  • বৈরুত লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড (২০০৯)
  • সোলারওয়ার্ল্ড আইন্সটাইন এ্যাওয়ার্ড (২০১০)

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস বিতর্ক

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস কে নিয়ে দুটি বিতর্ক উঠে। যা পরবর্তী কালে রাজনৈতিক প্রভাব হিসেবে প্রমাণিত হয়। যা হলো  – সুদখোর ও খাদ্য মামলা ও ফোন মামলা। কিন্তু দুটো অভিযোগ এর বিরুদ্ধেই ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। কিন্তু ২০১০ সালের ডিসেম্বরে নরওয়ে সরকার গ্রামীন ব্যাংককে সকল অভিযোগ থেকে দ্রুত নির্দোষ প্রমাণ করেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অর্জনে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন ধরণের মামলা দায়ের করেন ড. মুহাম্মাদ ইউনুস এর বিরুদ্ধে। যার ফলে তিনি বিশ্ব ইকোনমিক ফোরামে যোগদান করতে পারেননি। 

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস সম্পর্কে আমাদের মতামত

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস এর মত গুনিব্যাক্তির জন্ম বাংলাদেশে যা আমাদের গর্বের বিষয়। তিনি বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করায় আমরা সকল বাংলাদেশি আনন্দিত। শত শত ছাত্রদের শহিদের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় কে সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালিত করার জন্য ড. মুহাম্মাদ ইউনুস কোনো বিকল্প নেই।

ড. মুহাম্মাদ ইউনুস সম্পর্কে যদি প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে কমেন্ট করুন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। এতক্ষন ডিয়ার টেক ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment