KineMaster App ভিডিও এডিটিং এর সেরা টিপস ২০২৪

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই কনটেন্টটি আপনার কাজে আসবে কাইনমাস্টার অ্যাপ দিয়ে ভিডিও এডিটিং এর সম্পর্ণ ধারণা এটিতে পেয়ে যাবেন। মোবাইল দিয়েও প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করা যায়, মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং এর দুনিয়ায় আমার দেখা সবচেয়ে বেস্ট এবং সুইটাবল একটি অ্যাপ হচ্ছে কাইনমাস্টার। ভিডিও কাটাকাটি করা থেকে শুরু করে ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করা এবং ভিডিওতে সাবস্ক্রাইব বাটন ব্যবহার করা ভিডিও এবং, অডিও এডিটিং এর বেসিক ব্যাপারগুলো আজকের এই কাইনমাস্টার ভিডিও এডিটিং আরটিক্যালটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। আমাদের সকলের-ই হয়তোবা কমবেশি ভিডিও এডিটিং করে থাকি । এছাড়া বর্তমানে অনেকেই হয়তোবা ইউটিউবিং করার জন্য ভিডিও এডিটিং করে থাকেন ।

এক্ষেত্রে তাদের শুরুতে হয়তোবা কম্পিউটার থাকে না, তাই তারা মোবাইলে এন্ড্রয়েট ভিডিও এডিটিং App গুলো ব্যাবহার করে থাকেন । কিন্ত এই App গুলো যখনি ডাউনলোড করেন তখনি দেখেন যে App গুলির মধ্যে {ওয়াটার মার্ক} থাকে । এ ক্ষেত্রে App গুলি দিয়ে ভিডিও এডিটিং করলে, আন-প্রোফেশনাল লাগে । 

 KineMaster App কেন ব্যাবহার করবেন ?

আপনার মনে হতে পারে, সর্বোচ্চ মানের ভিডিও এডিটিং করার জন্য আপনার হয়তোবা দামি কোন কম্পিউটারের দরকার ? কিন্তু না । বর্তমানে সময় আপনি আপনার হাত থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও সর্বোচ্চ মানের হাই কোয়ালিটি ভিডিও নিখুঁতভাবে এডিটিং করতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং করার ক্ষেত্রে আপনারা হয়তো কোন দিন  Kinemaster App টির নাম অবশ্যই শুনেছেন। এটি এমন একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ – যার মাধ্যমে খুব সহজেই নিখুঁতভাবে ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব।

আপনার যদি KineMaster App সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকে, তাহলে এই অ্যাপটি আপনার মোবাইলে শুধু ইন্সটল করে রাখা ছাড়া আর কোন কাজে আসবে না। তাইক আমাদেরকে Kinemaster অ্যাপ দিয়ে সঠিকভাবে ভিডিও এডিটিং শেখা শুরু করতে হবে ।

এক্ষেত্রে ভিডিও এডিটিং শিখতে গেলে আপনাকে সমস্ত কিছু একদিনে বলে বোঝানো সম্ভব না। তাই আপনি চাইলে ইউটিও এ গিয়ে ধারাবাহিকভাবে আপনাকে Kinemaster app এর কিছু ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে টিউটোরিয়াল দেখা ওচিত ।

KineMaster App- টি ইনস্টল এর পড় যা করবেন ?

  • পারমিশন :প্রথমে আপনার মোবাইলে Kinemaster অ্যাপটি ইন্সটল করুন এর পর, এটিকে ওপেন করলে কিছু পারমিশন চাইবে, এক্ষেত্রে আপনি আপনার মোবাইল থেকে সকল পারমিশন গুলো অবশ্যই Allow করে দিন । তাহলে আপনি আপনার স্টোরেজের সমস্ত ফাইল গুলি এক্সেস করতে পাডবেন ।
  • Run Analysis Now : প্রথমে Run Analysis Now লেখাটিতে ক্লিক করলে আপনার ডিভাইসের পারফরম্যান্স চেক হবে, এক্ষেত্রে কিছুটা সময় নিতে পাড়ে । তখন আপনার ডিভাইসের পারফরম্যান্স অনুযায়ী যদি 4k সাপোর্ট করে তাহলে, আপনি ভিডিও এডিটিং শেষে Export করার সময় 4k কোয়ালিটি দেখতে পাড়বেন । 
  • Kinemaster হোমপেজে এবার আপনাকে Kinemaster অ্যাপ টির হোমপেজে নিয়ে আসবে এবং এখান থেকেই এডিটিং ধাপে শুরু করতে পারবেন। কাইনমাস্টার অ্যাপটির হোমপেজে অনেক গুলি অপশন রয়েছে যেমন, টিকটক আইকন, ইউটিউব আইকন, ইনস্টাগ্রাম, কিন্ত আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও এডিট করতে চান তাহলে সেই রেসিওতে ক্লিক করে এডিটিং শুরু করতে পারেন।
  • Kinemaster Video Edit : এবার আপনি আপনার সমস্ত কিছু এডিটিং এর খুটিনাটি শেষ কাজ শেষ করে ফেলবেন, যেমন ট্রানজেন, এনিমেশন, ইফেক্ট, গ্রিনস্কিন ক্রমাকি, ভিডিওতে রেক্সট বসানো, লাইক বাটন, ও কমেন্ট বাটোন, ইত্যাদি এবার ভিডিও Export দেয়ার পালা ।
  • Video Export : এডিটিং শেষ করে যখন কোন একটি ভিডিও আপনার মোবাইলের স্টোরেজে সংরক্ষণ করার জন্য Export লেখাটিতে ক্লিক করবেন, তখন আপনার ভিডিওটি Export হওয়া শুরু করবে। এক্ষেত্রে নিচের ফটো টির মত আপনার ভিডিওটি Export হতে শুরু করবে,  এবং ভিডিও এর ডিওরেশন অনুযায়ী Export হতে কিছুটা সময় লাগতে পাড়ে সেজন্য আপেক্ষা করুন।

কাইনমাস্টার প্রো কি ? কাইনমাস্টার প্রো কিভাবে কাজ করে

সেই অ্যাপ এর মধ্যে সকল ফিচার ব্যাবহার করা যায় সেটিকে প্রিমিয়াম বা প্রফেশনাল, অ্যাপ্লিকেশন বলা হয় । বড় ইউটিউবাররাও এই অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করে থাকেন।  এটি ব্যবহারের সময় ওয়াটার মার্কের বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে, একটা  প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর কখনই তার ফুটেজের সাথে ভিডিও এডিটিং কোম্পানির ওয়াটার মার্ক রাখেন না । সেজন্য যে সকল অ্যাপ এর মধ্যে কোম্পানির ওয়াটার মার্ক থাকে না সেটাকেই প্রো বা প্রিমিয়াম বলে ।

CapCut App ক্যাপ কার্ড দিয়ে ভিডিও শিখুন সহজেই – DearTech

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সেরা টিপস ২০২৪

daily 1000 tk earning in mobile: প্রতিদিন 100 টাকা ইনকাম করুন মোবাইল দিয়ে।

Kinemaster কারা ব্যাবহার করেন ?

বড় বড় ব্লোগার ও ইউটিউবার রা তাদের ভিডিও এডিটিং করার জন্য Kinemaster অ্যাপ এর ব্যাবহার করে থাকেন । কারন এই সফটওয়্যারটি দিয়ে খুব নিখুঁতভাবে Video Cut থেকে শুরুকরে স্মুথভাবে ভিডিও Adjustment করা যায় । 

Kinemaster ব্যাবহার করার মূল কারণ হচ্ছে এটির মাধ্যমে এক সঙ্গে অনেকগুলি Video Layer ব্যাবহার করা যায়, এবং Video Layer মধ্যে Chroma Key টুলসটি ব্যাবহার করে VFX এর মতো ভিডিও বানানো যায়। একটি ভিডিও উপর আরেকটি এবং তার উপর আরো অনেক ভিডিও এড করা যায়।

এছাড়া ভিডিওর মধ্যে Background Remove করা যায়।Kinemaster রয়েছে অসংখ্য Sticker, Effect. Text এর মধ্যে রয়েছে অনেকগুলি ফিচার যা নিজের মতো করে Text Animation করে সেটা ভিডিওতে ব্যাবহার করতে পাড়বেন এবং রয়েছে Handwriting যা লোকেট করে মার্ক করা যায়। Music, Voice Add করার সিস্টেম রয়েছে কাস্টমভাবে। আর আপনি যদি মেবাইল দিয়ে একটি ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে Kinemaster Apps টি ব্যাবহার করে দেখতে পাড়েন । এখানে নতুন নতুন আপডেট কিছু ফিচার রয়েছে।

আমি আশা করছি যে, আমার এসব ধারাবাহিক টিউন গুলো দেখার পর, আপনি কাইনমাস্টার ভিডিও এডিটিং করার ক্ষেত্রে বস হয়ে গিয়েছেন । এক্ষেত্রে আপনি KineMaster দিয়ে আপনার মনের মত করে ভিডিও এডিট করতে পারবেন।  যদিও আপনি কম্পিউটার এর মতো করে স্মার্ট ভাবে ভিডিও এডিট করতে  নাও পাররেন, কিন্তু তবুও আপনি মোবাইল দিয়ে সর্বোচ্চ মানের ভিডিও এডিট করতে পারবেন।

আপনি যেহেতু KineMaster ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য আজকের এই আরটিক্যালটি দেখছেন, তারমানে আপনার ভিডিও এডিট করার ক্ষেত্রে আগ্রহ রয়েছে এবং এই মুহূর্তে আপনি আমাদের ডিয়ার টেক ইনফো ওয়েব সাইট থেকে কোন ভাবে এই অ্যাপ টি ডাউনলোড করতে পাড়বেন না  এই অ্যাপ আপনি গুগল প্লে স্টোর এ পেয়ে যাবেন, আপনি সেইখান থেকে সংগ্রহ করুন এবং ভিডিও এডিটিং শুরু করুন ।

আরও পড়ুন 👇

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন