CapCut App ক্যাপ কার্ড দিয়ে ভিডিও শিখুন সহজেই । মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স Capcut App হচ্ছে মোবাইল এর জন্য একটি খুবই জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। এই অ্যাপসটি দিয়ে আপনি অনায়াসে খুব সুন্দর ভাবে ভিডিও এডিট করতে পারবেন, এই অ্যাপসটি এন্ড্রয়েড ছাড়াও, আপনার উইন্ডোজ পিসিতেও চালাতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে উইন্ডোজ ভার্সন ক্যাপ কার্ড সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
কেপ কাট ভিডিও এডিটিং এর সুবিধা
আমি আপনাদেরকে আজকে যে CapCut Premium অ্যাপসটির কথা বলতেছি । এই অ্যাপসটি দিয়ে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, আপনার ভিডিও এডিটিং এর এ টু জেড কাজ করতে পারবেন । প্রথমে আপনার ভিডিওগুলোকে capcut অ্যাপ এর ভেতরে ইনপুট করুন, এবং আপনি আপনার অডিয়েন্সের ইচ্ছামত ভিডিও গুলোকে এডিট করুন । সেটা হতে পারে ফেসবু, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, কিংবা অন্য কোন প্ল্যাটফর্মের জন্য। ভিডিওটি এডিট সম্পূর্ণ হলে আপনি 4k কোয়ালিটিতে এটিকে এক্সপোর্ট করতে পারবেন।
এরপর 4k ভিডিও এডিটিং করে আপনি ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রামে আপলোড করতে পাড়বেন। আপনারা কাছে যদি কোন হাই কনফিগারেশন ল্যাপটপ বা পিসি না থাকে, তাহলে আপনিও একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট ক্রিকেট এর মতো করে ভিডিও এডিটিং করতে পাড়বেন।
- CapCut App এর ভূমিকা : TikTok- থেকে শুরু করে সকল প্রকার এডিটিং করতে পাড়বেন CapCut দিয়ে। এই অ্যাপ Android এবং iOS উভয় প্ল্যাটফর্মেই পাওয়া যায় । এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক এবং এটি একটি প্রিয় Android App
- CapCut App এর বৈশিষ্ট্য : CapCut app এ বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পাড়বেন, ভিডিও এডিট, ভয়েজ ইডিট, ফটো এডিট, এছাড়াও আপনি এই অ্যাপসটির মধ্যে পেয়ে যাবেন বিভিন্ন প্রকার ট্রানজেকশন, এনিমেশন, স্টিকার এবং Text Template. যা আপনার ভিডিও এডিটিং কে আরো নেক্সট লেভেলে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।
- CapCut App Voice Edit : আপনি ক্যাপ কাড দিয়ে খুব সহজেই আপনার ভয়েস কে খুব সুন্দর ভাবে এডিট করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি নয়েজ রিডাকশনের মাধ্যমে আপনার ভয়েজের নয়েজকে রিমুভ করতে পারবেন । এবং ফিল্টার লাগিয়েও আপনার ভয়েজ কে একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি, খুব ভালো মানের ভয়েজে কনভার্ট করতে পারবেন ।
CapCut App এর মধ্যে আপনি ভয়েস চেঞ্জ এর অপশন পাবেন, এখান থেকে প্রায় ১২ টি মুডে আপনার ভয়েজ কে কনভার্ট করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্য ।
KineMaster App দিয়ে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং এর সেরা টিপস ২০২৪
কম্পিউটার vs মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং
আমরা সকলেই জানি আমাদের ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে একটি বিশাল বড় কম্পিউটার ব্যবহার করা লাগে, কিন্তু এই ২০২৪ সালে এসে আমাদেরকে ভিডিও এডিটিং এর জন্য তেমন ভারী কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করা লাগে না, কারণ আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে খুব সহজেই সালমাটিয়া যে কোন প্রকার ভিডিও সহজে এডিট করা সম্ভব।
ধরুন আপনি একটি রিয়েলস ভিডিও তৈরি করতে যাচ্ছেন আপনার শর্ট করা শেষ হয়ে গিয়েছে, এই ভিডিওটি এডিট করতে আপনাকে সামান্য কিছু এনিমেশন এবং ইফেক্ট ব্যবহার করতে হয়, এর জন্য আপনাকে লক্ষ লক্ষ টাকার কম্পিউটার বা পিসির দরকার পড়বে না। আপনি আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোনটি দিয়েই ক্যাপ কার্ড অ্যাপস এর মাধ্যমে সহজে আপনি আপনার ভিডিওটি এডিট করে নিতে পারবেন।
মোবাইলে ভিডিও এডিটিং এর সুবিধা
মোবাইলে ভিডিও এডিটিং এর অনেক প্রকার অসুবিধা রয়েছে যেমন ধরেন আপনি কোথাও ঘুরতে গেলেন, আপনি একজন নিয়মিত কনটেন্ট ক্রিকেটার এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি ভিডিও আপলোড করা দরকার। এ ক্ষেত্রে যদি আপনার সাথে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকে তাহলে কোন চিন্তার বিষয় নয়। আমি আপনার হাতে থাকা ডিভাইসটির মাধ্যমে খুব সহজে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে খুব সহজে আপনার ভিডিওটি এডিট করে নিতে পারবেন।
এবং সেটি হবে আপনার প্রফেশনাল ভিডিও এডিট, আর মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার জন্য এন্ড্রয়েড প্লে স্টোরে অনেকগুলো অ্যাপ্লিকেশন পেয়ে যাবেন। এরমধ্যে আমি আমার ব্যবহার অনুযায়ী ক্যাপ কার্ড অ্যাপ্লিকেশনটিকে সেরা বলে মনে করি আপনি যেই এপ্লিকেশন টা দিয়ে খুব ভালো মতো এডিট করতে পারেন আপনি সেই এপ্লিকেশন টা দিয়ে ভালোভাবে এডিট করুন মোবাইল এর মাধ্যমে।
ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে কম্পিউটার :
আমরা সকলেই জানি যে একটি কন্টেনের ক্ষেত্রে এডিটিং একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আর যদিও ভাই স্মার্ট ফোন দিয়ে কিছু ভিডিও এডিট করা যায় কিন্তু কম্পিউটার দিয়ে আমরা অনেক ভারি ভিডিও এডিট করে থাকি, ধরুন আপনার একটি ভিডিও ফুটেজের সাইজ 100 জিবি, এক্ষেত্রে আপনি চাইলেও আপনি আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোনটি দিয়ে এই ভিডিওটি কে খুব স্মার্ট ভাবে এডিট করতে পারবেন না, এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি পিসি।
সেজন্য আমরা বিশাল বিশাল এডিটিং এর ক্ষেত্রে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকি। কম্পিউটারে ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনি চাইলে আপনার লো রেজুলেশনের ভিডিওটিকে হাই রেজুলেশনে কনভার্ট করতে পারবেন, এবং আপনি cgi এবং vfx মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করতে পাড়বেন। থ্রিডি ভিডিও এডিট এর ক্ষেত্রে কম্পিউটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটির মাধ্যমে থ্রিডি ভিডিও এডিট করতে পারবেন না।
এজন্য আপনার দরকার পড়বে একটি হাই গ্রাফিক্সের কম্পিউটার সেটআপ, আর এজন্য অনেক হাইকনফিগারেশন এর পিসির দরকার পড়ে এই ভিডিওগুলো এডিট করার জন্য, তাই আমরা নিশ্চিন্তে বলতে পারি যে মোবাইলের থেকে পিসি দিয়ে ভিডিও এডিট করার ক্ষেত্রে পিসি অনেক দিক এগিয়ে থাকবে।
মন্তব্য : পরিশেষে আমি আপনাকে রিকমেন্ড করবো যদি আপনার বাজেট থাকে তাহলে আপনি, হাই কনফিগারেশন এর একটা পিসি বিল্ড করতে পাড়েন। এতে করে আপনার ভিডিও এডিটিং এর অনেক সুবিধা হবে এবং আপনি আপনার ভিডিওটিকে অনেক নেক্সট লেভেল পর্যন্ত এডিট করতে পারবেন।
এখন বর্তমান সময়ে অনেক ইউটিউবার এবং কনটেন্ট ক্রিকেটার রয়েছে যাদের ভিডিও এডিট করার জন্য অনেক হাই কনফিগারেশন এর কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হয়, তাদের জন্য মোবাইল ভিডিও এডিটিং তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না, তাই পরিশেষে একটা কথাই বলা যায় যে যেরকম ভিডিও আপনার সেরকম এডিটিং এর অ্যাপস বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে আপনাকে আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়ে গিয়েছে, CapCut App সম্পর্কে যদি প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে কমেন্ট করুন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমাদের ডিয়ার টেক ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।